কঠোর গোপনীয়তায় সাকিবের অনুশীলন
বার্তাবহ চাঁদপুর নিউজ: নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন—বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনের সবচেয়ে মিষ্টভাষী ও খোলা মনের দুই মানুষ বললে অত্যুক্তি হয় না। কিন্তু এই সদা উন্মুক্ত মানুষ দুইজনও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
সাকিব আল হাসানকে ফিটনেস ট্রেনিং করাচ্ছেন সাবেক দৌড়বিদ ও বিকেএসপির কোচ আব্দুল্লা হেল কাফি। তিনি বারবার শুধু বললেন—দুঃখিত। সাকিবের অনুশীলন দেখতে বা অন্য কোনো কাজে সেখানে গিয়েছিলেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। তিনিও বললেন, তিনি কিছু জানেন না। দুই কোচ না পারতে সাংবাদিকদের ফোন ধরছেন না। ধরলেও ঐ একই কথা —গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
হ্যাঁ, কঠোর এক গোপনীয়তার ভেতর দিয়েই বিকেএসপিতে অনুশীলন চলছে সাকিব আল হাসানের। এই গোপনীয়তার নির্দেশটা অবশ্য আইসিসি থেকেই এসেছে। তারাই বলে দিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাকিব তার ফেরার প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কিছু জানাতে পারবেন না। এমনকি তাকে এই পর্বে যারা সহায়তা করবেন, তাদেরও কথা বলায় আছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে বিকেএসপিতে একটা বলয় তৈরি করেই চলছে সাকিবের অনুশীলন।
গত শুক্রবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল পেয়েছেন সাকিব। তারপর শনিবার থেকে বিকেএসপিতে শুরু হয়েছে অনুশীলন। যতদূর জানা গেছে, প্রথম এক সপ্তাহ মূলত ফিটনেস নিয়েই কাজ চলবে। লম্বা সময় সাকিব মাঠের বাইরে বসে ছিলেন। ফলে তার ফিটনেসে একটু জং ধরার সম্ভাবনা থাকেই। তাই এটাতেই আপাতত বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
আর ফিটনেস ফেরানোর পর্বে তাকে সহায়তা করছেন বিকেএসপিরই কোচ এবং সাবেক দেশের দ্রুততম মানব কাফি। কাফি সকাল বেলায় ফিটনেসের নানা দিক নিয়ে কাজ করেন সাকিবের সঙ্গে। এরপর সাকিব স্কিলের কিছু দিক নিয়ে কাজ করেছেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে। ব্যাটিংটা নিয়ে কাজ করবেন মূলত নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
কারো কাছ থেকে কিছু জানা না গেলেও এটুকু শোনা গেল যে, সাকিবের ফিটনেস বেশ সন্তুষ্ট করেছে কোচদের। তিনি এতোদিন মাঠের বাইরে থাকলেও বেশ চনচনে অবস্থায় আছেন। নিজে কিছু কাজ করেছেন ছুটির সময়, তাই ফিটনেস খুব খারাপ হয়ে যায়নি।