পাঁচ মাস ধরে বন্ধ শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট
বার্তাবহ চাঁদপুর নিউজ: পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট। গত এপ্রিলে ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক এমএ আজাদের মৃত্যুর পর এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
দক্ষিণাঞ্চলের কোনো হাসপাতালেই বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নেই। অর্গানোগ্রাম না থাকলেও ২০১৫ সালে ৮টি শয্যা নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু হয়। বর্তমানে বেড সংখ্যা ৩২, আছে সব ধরনের লজিষ্টিক সাপোর্টও। তবে নেই, চিকিৎসাসেবাই।
এমনিতেই বার্ন ইউনিটে ছিল চিকিৎসক সংকট, এর উপর গত ২৬শে এপ্রিল ইউনিট প্রধান ডাক্তার এম এ আজাদের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই মূলত বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা সেবা। ওয়ার্ড নার্স জানান,’ রোগী নাই কিন্তু আমরা শিফটিং করে পাহাড়া দেই সরকারি মালামাল রক্ষায়।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইনডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার হালদার বলেন, ‘আমরা রোগীদের সেবা দিতে চাই। আমাদের এখানে অতি দ্রুত প্রফেসরসহ মেডিক্যাল অফিসার যারা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ট্রেনিং করা তাদের এখানে পোষ্টিং দেয়া হোক।’
বরিশাল অঞ্চলে আগুনে দগ্ধ কিংবা এসিডে আক্রান্ত রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। অনেক চলে যাচ্ছেন ঢাকায়; শুধু হতদরিদ্ররাই হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে কোনো রকম চিকিৎসা নিচ্ছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন,’বার্ন ইউনিট অবশ্যই প্রয়োজন। ইউনিট আছে এখন ডাক্তার দরকার। জনবল দরকার। জনবল ছাড়া ইউনিট কে চালাবে।’
তবে কবে চালু হবে বরিশালে বিভাগের একমাত্র এই বার্ন ইউনিট তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসার অভাবে যেন কেউ মারা না যায় সেই দাবি বরিশালবাসীর।