হালদাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার
বার্তাবহ চাঁদপুর নিউজ: দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। মুজিবর্ষ উপলক্ষে এ উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। হেরিটেজ ঘোষণা হলে হালদা নদী বিশ্বে পরিচিতির পাশাপাশি ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেব স্বীকৃতির সম্ভাবনা তৈরি হবে।
হালদা নদী। প্রাকৃতিকভাবে মা-মাছ ডিম ছাড়ে বলে দুই পাড়ের মানুষকে সমৃদ্ধ করছে এ নদী। জাতীয় অর্থনীতিতে যার অবদান ৮০০ কোটি টাকা। তাই আবেগের জায়গা থেকে এ নদীকে মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণার দীর্ঘদিনের দাবি স্থানীয়দের।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা হবে। এতে এই নদীটা বিশেষ কিছু মর্যাদা পাবে। সেই সাথে হালদা নদী আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
এমন বাস্তবতায় হেরিটেজ ঘোষণাকে আরও এগিয়ে নিতে নদী সংশ্লিষ্টদের নিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা। এ সময় হালদা নদীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পেতে হলে প্রথমে জাতীয়ভাবে হেরিটেজ ঘোষণার কথা তুলে ধরেন হালদা নদীর গবেষক মঞ্জুরুল কিবিরিয়া।
তিনি বলেন, যদি র্যাংকিংয়ের দিক দিয়ে আসেন; তাহলে এটা নাম্বার ওয়ান। ন্যাশনাল হেরিটেজ হিসেবে একমাত্র হালদা নদীই যোগ্যতার রাখে। ন্যাশনাল হওয়ার পর আমরা ওয়ার্ড হেরিটেজ হিসেবে দাবি রাখতে পারি।
এতে মা-মাছ ও ডলফিন নিধন, নদীর উপরে ড্যাম নির্মাণসহ উঠে আসে নানা সমস্যার কথা। এছাড়া সামনে এগিয়ে নিতে সরকারের নানা পরিকল্পনার কথাও বলা হয়।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো খলিলুর রহমান বলেন, যে নদীতে ডলফিন আছে বুঝতে হবে সেই নদীতে দূষণ নেই। এরা প্রচুর মাছ খায়। মাছ না থাকলে এরা থাকবে না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তেই এটি করা হবে।
খাগড়াছড়ির পাতাছড়া থেকে নেমে আসা একশো ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীতে প্রাকৃতিকভাবে চার প্রজাতির মা মাছ ডিম ছাড়ে । এই নদী থেকেই দৈনিক ১৮ কোটি লিটার পানিও সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা।