রাজ্যপালের কাছে গিয়ে নালিশ করলেন কঙ্গনা

Spread the love

বার্তাবহ চাঁদপুর নিউজ: সুশান্ত রাজপুত কাণ্ডে কথা বলার জেরেই হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে দাবি বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাউতের।

রোববার বিকেলে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎসিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ দাবি করেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মুম্বাইয়ের পালি হিলে কঙ্গনার অফিসের একাংশ ভাঙা এবং তা ঘিরে তীব্র সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মুখ্য পরামর্শদাতা অজয় মেহতাকে তলব করেছিলেন কোশিয়ারি। সেই বৈঠকে কঙ্গনার মতোই কোশিয়ারিও মত ছিল, পালি হিলের অফিসের একাংশ ‘অবৈধ’ নয়।

তবে মুম্বাই পৌরসভা নিজের যুক্তিতে অনড় থেকেছে। ফলে এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ফের কঙ্গনার হাত শক্ত হতে চলেছে, মনে করছেন অনেকে।

কঙ্গনা সাংবাদিকদের বলেন, সুশান্তকাণ্ডে মুখখোলার জন্যই আমাকে নিশানা করা হচ্ছে। হেনস্থা করা হচ্ছে আমাকে। আমি এখানে নিরাপদ নই।
সেই সঙ্গে তার হুঁশিয়ারি, মুম্বাই আমার কর্মস্থল। আমাকে এখান থেকে উপড়ে ফেলা যাবে না।

রাজ্যপালের পাশাপাশি পুরনো ‘শত্রু’ করণী সেনাকেও পাশে পেয়েছেন কঙ্গনা। কঙ্গনাকে যাবতীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিলেন কট্টরপন্থী সংগঠনের দায়িত্বশীলরা।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরই মুম্বাই পুলিশ ও মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব কঙ্গনা। মুম্বাইকে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ বলে তোপও দেগেছেন তিনি। তার পরই ‘প্রতিঘাত’ শুরু হয় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সরকার। কঙ্গনাকে মুম্বাইতে পা রাখতে দেবেন না বলে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।

এর পর গত ৯ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার পালি হিলের অফিসের ‘অবৈধ’ নির্মাণ ভাঙতে শুরু করেছিল শিবসেনা পরিচালিত বৃহন্মুম্বই পৌরসভা (বিএমসি)। কঙ্গনার আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাতে স্থগিতাদেশ দিলেও উদ্ধব সরকারের সঙ্গে অভিনেতার সঙ্ঘাত-বিরতি হয়নি। বরং তা আরও তীব্র মাত্রা পায়। এর পর খারে কঙ্গনার ফ্ল্যাটের ‘বেআইনি’ অংশ ভাঙতে তৎপর হয় বিএমসি।

এর পরই একের পর এক টুইটে উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেন কঙ্গনা। উদ্ধবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তার টুইট ছিল, আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহঙ্কার ভাঙবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *