১ লাখ টাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন তারা

Spread the love

বার্তাবহ চাঁদপুর নিউজ: রাজধানীতে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই পরিচয়পত্র তৈরি করতে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত টাকা নিতেন তারা।

গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার রাতে মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের ডি-ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) লালবাগ বিভাগ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। তারা এসব পরিচয়পত্র তৈরি করে অনেককে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দিতে সহায়তা করতেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সুমন পারভেজ (৪০), মো. মজিদ (৪২), সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর (৩২), মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৬) ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট ১২টি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয় বলে ডিএমপি নিউজ জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কেউ ঋণ খেলাপি হলে তাদের সিআইবি খারাপ হয় ফলে পুনরায় তারা ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন না। তখন গ্রেপ্তার সুমন ও মজিদ ঋণ পাশ করিয়ে দেবেন দাবি করে প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতেন।

পরবর্তীতে ঋণ পাশ হলে সেই পরিমাণ টাকার ১০% হারে দিতে হবে দাবি করে চুক্তি করতেন তারা। চুক্তিতে একমত হলে এই ব্যক্তিরা প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন। পরে ঋণ পাশ হলে চুক্তি অনুযায়ী ঋণে সম্পূর্ণ টাকার ১০% হারে নিয়ে নিতেন। এ জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন তাদের আরেক সহযোগী গ্রেপ্তার সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকটি জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি বাবদ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিতেন।

পুলিশ জানায়, সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম ই-জোন কোম্পানির মাধ্যমে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশনের অধীনে খিলগাঁও ও গুলশান অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। এ কারণে তারা নির্বাচন কমিশন অফিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে পারতেন।

গ্রেপ্তার পাঁচজন এ উপায়ে অনেককে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করে দিয়েছেন জানিয়ে পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডের থানায় মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *