যে ভুল জীবন বদলায়
ফারহানা ইসলাম, লেখক।। মেয়ের ভালোর নামে বেশিরভাগ বাবামায়েরাই তার সন্তানের অমঙ্গল ডেকে আনেন। একটি মেয়ে এসএসসি কমপ্লিট করার পরপরই শুরু হয় তার বাসার চারদিকে ঘটকদের আনাগোনা।
অনেক অভিভাবক আছেন ঘটকদের পাল্লায় পড়ে মেয়ে দেখানোর ব্যবস্থাও করেন। মেয়ে কিছু বললে বলবে বড়ই গাছ থাকলে অনেকেই ঢিল মারবে তাই বলে কি সব ঢিলে বড়ই পড়বে।কথা হচ্ছে বিয়ে না দিলে এত দেখাদেখির কি দরকার।
মেয়েরাতো পণ্য নয় যে এত দেখাদেখির দরকার আছে।অধিকাংশ মেয়েই চায় আরো কয়েকটা বছর পড়াশোনা করতে কিংবা বাবামায়ের সাথে থাকতে।
কিছু মেয়ে ব্যতিক্রম যদিও। মেয়েরা যদি আবেগের বসে প্রেমে পড়ে কিংবা কোন ছেলের দ্বারা উত্যক্ত হয় তাহলে অভিভাবকরা সমাধান হিসেবে সর্বপ্রথম বিয়েটাকেই নির্বাচন করে।তাড়াহুড়োতে মেয়েকে যারতার সাথেও বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায় কিছু অভিভাবক। এবং বলে থাকে মেয়েকে মাঝনদীতে ভাসিয়ে দিলাম। ডোবার হলে ডুববে আর ভাসার হলে এখান থেকেই ভাসবে।
কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই মেয়েরা এই অনিশ্চয়তা নামক নদীতে ডুবে যায়। হাদিসে আছে নির্ধারিত বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিতে। আবার হাদিসে এও আছে যে যুবতী মেয়েদের অনুমতি ছাড়া তাদের বিয়ে না দিতে। মেয়েরা কিংবা ছেলেরা আবেগের বয়সে অনেক ভুল করতে পারে।
মানুষ হিসেবে কেউই পরিপূর্ণ নই।প্রথমে তাকে ঠিকমতো বোঝাতে হবে কিংবা সংশোধন করতে হবে।তারপর ভেবেচিন্তে বিয়ের ব্যবস্থা করা যেতেই পারে।
মেয়ের ভুলকে টার্গেট করে হুট করে বিয়ে দিয়ে দিলে মেয়ে জেদী হয়ে পড়ে কিংবা চাইলেই নতুন সংসারে মানিয়ে নিতে পারেনা।তাই আগে মেয়েকে ভালোমন্দের পার্থক্য বোঝান।বিয়ে দেওয়ার সময়তো হাতে থাকবেই।
লেখকের ইমেইলঃ