হিলি দিয়ে আসা পেঁয়াজের অধিকাংশই পচা

Spread the love

বার্তাবহ চাঁদপুর নিউজ: রপ্তানি জটিলতার কারণে সীমান্তে লোড অবস্থায় থাকা পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হলেও অধিকাংশ পেঁয়াজই পচে নষ্ট হয়ে গেছে।

শনিবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় এসব পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক সীমান্তে আটকে পড়ে। অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা বিপাকে পড়েছেন।

স্থলবন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশমুখী পেঁয়াজবাহী ট্রাক শনিবার ছাড়ে ভারত। পেঁয়াজ নিয়ে এসব ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শুধু গত সোমবার আমদানির প্রক্রিয়া শেষ করে যেসব ট্রাক অপেক্ষারত ছিল, সেগুলোকেই বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ পচে গেছে
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ট্রাকের চালক ও খালাসের দায়িত্বে থাকা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা বলছেন, পাঁচদিন ধরে আটকে থেকে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। ট্রাকভেদে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পেঁয়াজ পচে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।

এদিকে, বন্দরের মোকামে একটু ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও পচা বা নষ্ট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে সন্ধ্যায়। এর ফলে হিলি সীমান্তে ২৫০-৩০০ পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়ে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক সিদ্ধান্তে শুধু ১৩ সেপ্টেম্বর এলসি করা পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়। ফলে গত শনিবার সীমান্তে আটকে থাকা ১১টি ট্রাকে ২৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আমদানি করা হয়। তবে সীমান্তে আটকে থাকা ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের অনুমতি দেওয়া হয়নি। একারণে রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

পচে যাওয়া পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে বেছে পেঁয়াজ নিচ্ছেন এক নারী
তিনি আরও জানান, শনিবার যেসব পেঁয়াজ দেশে নেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশ পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বন্দরের ব্যবসায়ীরা অর্ধকোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন।

সাইফুল ইসলাম নামে এক পেঁয়াজ আমদানিকারক বলেন, কিছুদিন পরপরই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে আমরা লোকসানের মুখে পড়ি। দুই দেশের সরকারকেই বিষয়টি সুরাহা করার আহ্বান জানাই। তাহলে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতাম না, বাজারও নিয়ন্ত্রণে থাকত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *