সেন্টমার্টিনে দু’দিন ধরে আটকা শতাধিক পর্যটক
বার্তাবহ চাঁদপুর নিউজ: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়ে দুই দিনে আটকা পড়েছেন শতাধিকের মতো পর্যটক। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, রোববার সকালে কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস এবং টেকনাফ থেকে কয়েকটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। ওই দিন বিকেলে জাহাজ ও ট্রলারে করে ৯০ জনের বেশি পর্যটক টেকনাফ ও কক্সবাজার ফিরে যান। রাত যাপনের জন্য সেন্টমার্টিনে থেকে যান শতাধিক পর্যটক। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার সকাল থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা দ্বীপে আটকা পড়েছেন। তবে সবাই নিরাপদে আছেন।
সেন্টমার্টিন ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হাবিব খান বলেন, বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল। সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জোয়ারের ধাক্কায় দ্বীপের উত্তর ও পশ্চিম পাশের সৈকতের বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে যাচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোয়ারের তোড়ে সোমবার রাতে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিকের জেটিঘাটে নোঙর করে রাখা চারটি মাছ ধরার ট্রলার ও যাত্রীবাহী একটি কাঠের বোট ডুবে গেছে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন এই নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে। সাগর শান্ত হলে টেকনাফ থেকে জাহাজ গিয়ে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনবে।