ভিটাটিম ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ৪-১৭ অক্টোবর
বার্তাবহ চাঁদপুর নিউজ: আগামী ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর সারা দেশে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে বিনামুল্যে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। আজ ২৩ আগস্ট, বুধবার ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও কার্যপরিকল্পনা সভায়’জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর (এনএনএস) ডা. এস এম মুস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।
৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ৩৪ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ মাত্রা) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ মাত্রা) খাওয়ানো হবে।
এক লাখ ২০ হাজার ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াবেন। করোনার কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। তবে নিজ নিজ এলাকার কেন্দ্রে আসা শিশুর অভিভাবকদের অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করে আসতে হবে।
এ বিষয়ে ডিরেক্টর জানান, যেসব শিশু ভ্রমণে থাকবে, তাদের চার থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে আট দিন ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময় নিকটবর্তী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র থেকে নিজ দায়িত্বে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, জার্মানিতে উৎপাদিত নীল রংয়ের ক্যাপসুল ইউনিসেফের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। লাল রঙ্গের ক্যাপসুল সংগ্রহ করা হয়েছে দেশীয় কোম্পানি রেনেটা ও গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড থেকে। তবে ছয় মাসের কম বয়সী, পাঁচ বছরের বেশি বয়সী, চার মাসের মধ্যে ভিটামিন এ প্রাপ্ত ও অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
দেশে বছরের দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। তবে এবার করোনা মহামারীর কারণে তিন মাস পিছিয়ে নয় মাস পর ভিটামিন এই ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে।