বাংলাদেশে গরু পাচারে বিএসএফ, মাঠে সিবিআই
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: বাংলাদেশে গরু পাচার চক্রের হোতা হিসেবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) এক অনুসন্ধানে।
বুধবার দিনভর তল্লাশিতে উঠে আসা এ তথ্য দেখে বিস্মিত তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, গরু পাচারের টাকায় একদিকে যেমন সতীশ কুমারের মতো বিএসএফ-কর্মকর্তারা বিপুল সম্পত্তি করেছেন, তেমনই এনামুল হকের মতো পাচারকারীরা অজস্র বেনামি সংস্থা খুলে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন চালিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দিনের তল্লাশির পর গরু-সোনা-মাদক পাচারের ঘটনায় জড়িয়ে থাকা সম্পর্কের হদিস মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। সেই সূত্রে একে একে এই চক্রের সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা।
২০১৮ সালের শেষের দিকে সিবিআই তদন্তের ‘জেনারেল কনসেন্ট’ রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ফলে গত দুই বছর সিবিআই এ রাজ্যে কোনও নতুন মামলা নথিভুক্ত করতে পারেনি। কিন্তু গত সাত দিনে দুটি মামলা করা হয়েছে। একটি বিশ্বভারতীয় প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা। অন্যটি গরু পাচারের মামলা।
সিবিআই কর্মকর্তারা বলছেন, কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি এক রায়ে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইকে রাজ্য সরকারের সম্মতি নিতে হবে না। সেই সূত্রেই নতুন দুটি মামলা করা হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর গরু পাচার মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ২২ সেপ্টেম্বর আসানসোল আদালত থেকে তল্লাশির অনুমতি নেয় সিবিআই। পরের দিন, বুধবার চলে তল্লাশি। এনামুলের কলকাতার কয়েকটি ঠিকানা, আস্তানা এবং মুর্শিদাবাদের কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়।
সিবিআইয়ের দাবি, এনামুল গরু পাচারের পাশাপাশি বাংলাদেশে চাল-পেঁয়াজ রফতানি, আবাসন ও নির্মাণ শিল্প, পাথর খাদান, বালির কারবারে যুক্ত। তার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ ডলার রাখা ছিল। এ ছাড়া নামে-বেনামে বহু সম্পত্তির হদিস মিলেছে। সিবিআই কর্তারা জানিয়েছেন, দু’একটি অ্যাকাউন্টে এই পরিমাণ টাকা থাকলে এনামুল বাহিনীর হাতে কী পরিমাণ নগদ রয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়।