এবার করোনা সনাক্ত করছে কুকুর, শতভাগ সফলতার দাবি
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: করোনাভাইরাস শনাক্তে এবার কুকুরের ব্যবহার চালু করেছে ফিনল্যান্ড। পরীক্ষামূলক প্রকল্পের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহ থেকে হেলসিঙ্কি-ভ্যান্টা বিমানবন্দরে যাত্রীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে প্রশিক্ষিত কুকুরের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পিসিআর পরীক্ষার চেয়ে এই পদ্ধতি সাশ্রয়ী ও কার্যকর হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
পৃথিবীর যেকোনো বিমানবন্দরেই স্নিফার ডগের দেখা মেলে। অবৈধ জিনিসপত্র ধরে ফেলতে এদের ঘ্রাণশক্তির ব্যবহার বেশ কার্যকরী। এবার এ রকম কিছু কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে ভিন্ন উদ্দেশ্যে। গন্ধ শুঁকে করোনাভাইরাস শনাক্তের কাজে লাগানো হয়েছে ওদের।
যাত্রীর ঘাড় মোজা কাপড় শুঁকে ভাইরাসটি ধরে ফেলতে দক্ষ এই কুকুর। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি-ভান্তা বিমানবন্দরে এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
একটি গবেষণা প্রকল্পের অধীনে ১৫টি কুকুর ও ১০ জন ইন্সট্রাক্টর কাজ করছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুকুরের মাধ্যমে করোনা শনাক্তের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিট।
এ প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব হেলসিংকির অধ্যাপক আনা হেইম-বর্কমান বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এই কুকুরগুলো করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পাঁচ দিন আগেই রোগটি শনাক্ত করতে পারে। করোনাভাইরাস শনাক্তে ওরা খুবই দক্ষ। ওদের দক্ষতার প্রায় শতভাগ প্রমাণ আমরা পেয়েছি।
তবে কীভাবে কুকুর করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করছে, সেই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হতে পারেননি। নিখুঁত ফলাফল পেতে এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
ইউনিভার্সিটি অব হেলসিংকির গবেষকরা এর আগে ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের রোগী শনাক্ত করতে কুকুর ব্যবহার করেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গবেষকরাও এমন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। তবে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ফিনল্যান্ড এটি কার্যকর করতে পেরেছে।
এর আগে, গত মাসে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ শনাক্তে কুকুরের ব্যবহার শুরু হয়।