বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ আছেই
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোরের সিংড়ার আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধির হার কমলেও বেড়েছে ক্ষতি আর দুর্ভোগ। ইতোমধ্যেই দুটি বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। ভেঙেছে কয়েকটি বাড়ি। দীর্ঘদিন নদীর ড্রেজিং না হওয়া, নদী ও বিলের সংযোগ বন্ধ করা, খাল ভরাট ও বিলের আয়তন কমে যাওয়াকেই এমন দুর্যোগের জন্য দায়ী মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (বিভাগ) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক টুইটার বার্তায় জানান, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানির কারনে আত্রাই নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্যমতে বর্তমানে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷
পানির প্রবল স্রোতে সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়া ও তাজপুর ইউনিয়নের হিয়াতপুরে দুটি বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে করে ২৭৫০ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জরুরী ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মত বন্যায় আমার নির্বাচনী এলাকার নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি হয়ে লক্ষাধিক মানুষ।
ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ২৫টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ৮৮০ পরিবার পরিবারের প্রায় ২ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদের তিন বেলা থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠন এর নেতাকর্মী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অস্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ ও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে।
আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের তিনবেলা থাকা-খাওয়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের মাঝে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা বিতরণ করা হবে।
ইতিমধ্যেই জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনকে আত্রাই নদীর পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী অবৈধ সৌতি জালের স্থাপনা উচ্ছেদ করার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছি৷ প্রয়োজনে নিজে মাঠে নামতে প্রস্তুত আছি।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান করবো ইনশা আল্লাহ্।
মহান আল্লাহ আমাদের এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার তৌফিক দান করুন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হবো ইনশা আল্লাহ্।
আমি বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের পাশে থাকার জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।