ছাদবাগান আছে যাঁর কর কমবে তাঁর
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ছাদবাগানের মালিকদের গৃহকর রেয়াতের আওতায় এনে তাঁদের উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের গতি অনেকটাই শ্লথ। ছাদবাগান করেও গৃহকর রেয়াতের সুবিধা না পাওয়ায় বাড়ির মালিকদের আক্ষেপের কমতি নেই।
জানা গেছে, ছাদবাগান করলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
গত ২৫ আগস্ট মিরপুর ১০ নম্বরে মুকুল ফৌজ মাঠে এক লাখ চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করার সময় এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৬ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ছাদবাগান করলে ট্যাক্স রেয়াত দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের জুনে এক হাজারের বেশি বাড়ির মালিক ছাদবাগান করে।
ডিএসসিসির কর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর মওকুফের সুবিধা নিয়েছেন। তবে ২০১৬ সালের জুনের পর তৎকালীন মেয়রের সময়েই সেই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাদবাগানের জন্য ২০১৬ সালের ওই ছাড় ছাড়া অন্য কোনো সময় কোনো ধরনের সুবিধা মেলেনি। শুধু মৌখিক ঘোষণার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ সিটি করপোরেশন ১০ শতাংশ কর রেয়াত দিতে চাইলে বোর্ডসভায় অনুমোদনের পর তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে হয়। সরকারের অনুমোদন ছাড়া ট্যাক্স মওকুফের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অনেকে। তবে ছাদবাগানের মালিকদের সেই সুবিধা দিতে কিছুটা অগ্রগতি শুরু করেছে ডিএনসিসি। ডিএসসিসি এখনো এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের মতে, ছাদবাগানের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণার পর একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মেয়র। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, নগর পরিকল্পনাবিদ, সুধীসমাজ এবং পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তবে এখনো বোর্ডসভায় তা পাস হয়নি। বোর্ডসভায় পাস করানোর পর সিদ্ধান্তটি স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো খুব জরুরি। ছাদবাগানের মাধ্যমে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব। তাই যাঁরা সুসজ্জিত বাগান করবেন, তাঁদের ১০ শতাংশ কর কমানোর ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছি। একটি কমিটি গঠন করতে এরই মধ্যে আমি কর্মকর্তাদের বলেছি। বোর্ডসভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’
এদিকে সবুজায়ন ও ছাদবাগানের বিষয়ে নগরবাসীকে আকৃষ্ট করতে ডিএসসিসি মেয়র আগ্রহী। ট্যাক্স রেয়াতের বিষয়টি নিয়ে এখনো দাপ্তরিক কোনো কাজ শুরু হয়নি। তবে বিষয়টি মেয়রের দৃষ্টিতে আনার ব্যাপারে বলেছেন কর্মকর্তারা।