আতংক! আতংক! আতংক!

জেবুন্নেছা সুলতানা, সংগঠন কর্মী।।গভীর জংগলে থাকা এক হরিণের প্রসব ব্যথা উঠলো। হরিণটি বনে পাশে খোলা জায়গায় নির্বাচন করল সন্তান প্রসবের জন্য। হঠাৎ সে দেখল,আকাশ অন্ধকার মেঘে ছেয়ে গেছে, যে কোন মুহুর্তে ঝড় আসতে পারে। সে জায়গাটি পরিবর্তন করে সামনে এগোতে চাইতেই দেখে এক শিকারী তার দিকে ধনুক তাক করে আছে। পেছনে ফিরে দেখলো একটি সিংহ তার দিকে এগিয়ে আসছে তাই আবার জংগলে রওনা দিবে ভাবতেই দেখে বনে দাবানল জ্বলছে।
কি আর করা, সে চিন্তা করল এখানেই তার সন্তান জন্ম দিবে তাই চিন্তা করে দুচোখ বন্ধ করে সৃষ্টিকর্তাকে স্বরন করল।সে হঠাৎ অনুভব করলো খুব ঝড়ো হাওয়া বইছে।চোখ মেলে দেখে শিকারীর চোখে বাতাসে ধুলো পড়ায় তীরের ধনুকটি তার গায়ে না লেগে গিয়ে লাগল সিংহের গায়ে।আর প্রচন্ড ভারী বর্ষনে বনের দাবানল নিভে গেল।হরিণটি নিশ্চিন্তে বাচ্চা প্রসব করল আর সকল বিপদ থেকে রক্ষা পেল।
আমাদের অবস্থা ও সেই হরিনের মতোই, চারদিকে বিপদ আর বিপদ। আমরাও কায়োমনোবাক্যে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। নিশ্চয়ই তিনি পরম দয়ালু,। আমাদের বিপদ মুক্ত তিনিই করবেন।আমরা নিরাশ না হই। তিনিই আমাদের রক্ষক।