ওমানে মারা যাওয়া শাহ আলমের লাশ দেশে আনার আকুতি পরিবারের
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: ওমানে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার শাহ আলমের মরদেহ দেশে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চান মৃতের স্বজনরা।
তার মরদেহ দেশে ফেরত আনতে ওমান দূতাবাস, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়েরও সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। মারা যাওয়ার ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও ওমানের হিমঘরে পড়ে রয়েছে শাহ আলমের মরদেহ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার উত্তর সেঙ্গুয়া গ্রামের আব্দুল হোসেন গাজীর ছেলে শাহ আলম গাজী দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ওমানে কাজ করছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর ওমানের সোহার শহরের নির্মাণাধীন ভবনের পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ হারান শাহ আলম।
পানির ট্যাংক পরিষ্কারের জন্য প্রথমে হারুন নামের কুমিল্লার একজন যুবক ট্যাংকে নামেন। কিন্তু তাকে উপরে উঠে আসতে না দেখে তার সহযোগী শাহ আলমও নিচে নামেন।
তাদের দুইজনকে উপরে উঠে আসতে না দেখে সঙ্গে থাকা লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ওমান সোহার শহরের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
শাহ আলমের ভাই শাহীন আলম বলেন, আমার ভাই চলতি বছর দেশে আসার কথা থাকলেও করোনার কারণে দেশে আসতে পারেনি। ওমানের সোহার শহর থেকে ভাইয়ের মরদেহ দেশে আনতে অনেক হয়রানি, কাগজপত্র ও অনেক অর্থের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে সবকিছু জোগাড় করা সম্ভব নয় বিধায় আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওমান দূতাবাস ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করছি। এরই মধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন ও কিছু কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, শাহ আলমের স্ত্রী রুমা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে স্বামীর মরদেহ ফিরে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাদের। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।