করোনায় আয় বন্ধ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে জড়িত প্রায় ৫ লাখ মানুষের
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সাথে জড়িত প্রায় ৫ লাখ মানুষের ৬ মাস ধরে উপার্জন বন্ধ। ধীরে ধীরে সব অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু হচ্ছে। তাই সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ভেন্যুগুলো খুলে দিয়ে নিজেদের রক্ষার দাবি, এ শিল্পের সাথে জড়িতদের।
বিশ্ব মহামারি করোনার ছোবলে এখন পাল্টে গেছে এমন দৃশ্য। সংক্রমণ এড়াতে গেল ৬ মাস ধরে বন্ধ সব ধরনের সামাজিক আয়োজনের ভেন্যু।
কাজ নেই, নেই উপার্জন। তাই বড় কোম্পানিগুলো কোনভাবে টিকে থাকতে পারলেও টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে ছোট কোম্পানিগুলোর। থমকে গেছে এই পেশার সাথে যুক্ত উদ্দ্যোক্তাদের জীবিকা।
ফেস্টিভা ইভেন্ট প্লানার সিইও মেহনাজ সীমা বলেন, করোনাকালে অন্যান্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলোর মত আমাদেরও আয় উপার্জনের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমরা এখন যে কাজগুলো পাচ্ছি তার পরিমান খুবই কম। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব অনুষ্ঠানগুলো আয়োজনের চেষ্টা করছি।
কুল এক্সপোজারের ভিডিওগ্রাফার তৌহিদুর রহমান রুবেল বলেন, আমরা মনে করি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবারও এসব অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করা যেতে পারে। সবকিছুই মোটামুটি যেহেতু খুলে দেয়া হয়েছে ইভেন্টের কাজও খুলে দেয়া উচিত। কারণ গত কয়েকমাস থেকে আমাদের হাতে কোন কাজ নেই। আমরাও গুছিয়ে উঠতে পারছি না।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর পাশাপাশি হাত পা গুটিয়ে অনেকটাই বসে গেছে প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি ইভেন্ট লজিস্টিকস সহায়তা প্রতিষ্ঠান। সংকটে পড়েছে মঞ্চ নির্মান, সাজসজ্জা, ক্যামেরা, লাইট-সাউন্ডসহ এর সাথে জড়িত প্রায় ৫লাখ কর্মী।
ইভেন্ট লজিস্টিকস সাপোর্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ বলছে, অচিরেই সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ভেন্যুগুলো খুলে দিলে অনেকটাই রক্ষা পাবে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা।