নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও এখনও ফেসবুক ও ইউটিউবে
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে ছড়িয়ে দেয়া ভিডিও এখনও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হচ্ছে সেই ভিডিও।
এদিকে নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ ৫ অক্টোবর, সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শমীম এই আদেশ দেন।
২ সেপ্টেম্বর রাতে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এক মাস ধরে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়েছিলো। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, নির্যাতনকারীদের মধ্যে এক যুবক নারীর পরনে থাকা জামা কাপড় টেনে-হিঁচড়ে সম্পূর্ণ খুলে ফেলে। এ সময় ওই নারী বিছানার ছাদর, তোষক, খাটের ওপর থাকা বিভিন্ন কাপড় দিয়ে নিজের দেহ ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু নির্যাতনকারীদের মধ্যে কয়েকজন চারদিক থেকে কাপড়গুলো টেনে সরিয়ে দেয়। এক যুবক নারীর মুখে বারবার লাথি মারে। একজন তার মুখ ও বুকের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়। এক যুবক নারীর গোপনাঙ্গে বারবার হাত দেয় ও আঘাত করে। আরেক যুবক তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। নির্যাতনকারীদের বারবার বাবা ডেকেও রক্ষা পাননি ওই নারী।
এদিকে জানা গেছে, ওই ঘটনার ৩৩ দিন পর রোববার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ৯ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নির্যাতিতা নারী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
৯ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রধান দুই আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।