শহরজুড়ে কুকুরের আধিপত্য
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরে বেওয়ারিশ কুকুরের তাণ্ডবে অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। কুকুর কামড়ে ছাগল খামারিরা অতিষ্ঠ। বেওয়ারিশ কুকুরের দল পৌরশহরের প্রধান প্রধান আবাসিক ও সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
আজ ১১ অক্টোবর, রবিবার সকালে পৌরশহরের শিবদীঘি জিরো পয়েন্টে সরেজমিনে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ কুকুরের দল পাগলু অটোরিকশা ও অটোভেসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করছে। অভিযোগ রয়েছে, শান্তীপুরের ফলের দোকানদার ইসমাইলের আট থেকে ১০ হাজার মূল্যের একটি ছাগল কয়েকটি কুকুরে কামড়ে মেরে ফেলে।
একই এলাকার ওয়ার্কসোপের দোকনদর (বাকপ্রতিবন্ধী) মুন্নাফের দুটো ছাগলকে কুকুর কামড় দেয়। এর মধ্যে একটি মারা গেলেও অপরটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তার স্ত্রী।
সবজি ব্যবসায়ী জাবেদ জানান, কিছুদিন আগে কয়কটি কুকুর কামড়ে তার সাত হাজার টাকার মূল্যের একটি ছাগল মেরে ফেলে। এই ক্ষতিতে বাড়িতে থাকা অবশিষ্ট ছাগলগুলো বিক্রি করে দেন তিনি।
পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাদেকুর ইসলাম জানান, পৌরসভার মাসিক মিটিং এ কুকুরের বিষয়টি আলোচনা করেছেন তিনি।
এদিকে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষও বাদ পড়েনি। এরই মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জনকে কুকুর কামড়ানোর খবর রয়েছে স্থানীয় পৌরসভায়। কুকুরের কামড়ে আহত কয়েকজন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরশহরের মুক্তা মার্কেটের দোকানদার ফারাজুল জানান।
পৗরসভা প্রধান প্রশাসনিক অফিস সহায়ক ডালিম শেখ জানান, কুকুরের প্রজননের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পৌর শহরসহ উপজেলাব্যাপী কুকুরের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অমানবিক হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ কুকুর নিধন করতে পারছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না পেয়ে রোগী নিয়ে অনেকে পড়ছেন বিপদে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান, হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন বরাদ্দ নেই। রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।