অবশেষে নিজ বাড়ি থেকে বিড়াল সরিয়ে নিচ্ছেন নায়লা

Spread the love

বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: পশুপ্রেমী হিসেবে মডেল ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈমের বিশেষ পরিচিতি আছে। রাস্তার কুকুরদের খাবার বিতরণ ও আহত প্রাণীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন এটা যারা নায়লাকে অনুসরণ করে থাকেন তারা জানেন। আর এসব কারণে রীতিমতো হয়রানির শিকার হচ্ছেন এই মডেল।

বিগত কয়েক মাস যাবত এই হয়রানির মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন নায়লা নাঈম। তিনি নিজের লালিত বিড়ালগুলো বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছেন, কেননা এসব নিয়ে ক্রমাগত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাকে।

নায়লা বলেছেন, একজন প্রাণী প্রেমী হয়ে মানসিক নি’র্যা’তনের শিকার হতে চাই না! আহত প্রাণীগুলোর চিকিৎসা করে সেটা যদি আমার নিজের কাছে রেখে নিজ খরচে ,ওদের একটা থাকার ব্যবস্থা করি,

সেটা যদি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শা’স্তিযোগ্য অপরাধ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই পুলিশের ভূমিকা যুক্তিযোগ্য! সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে এবং প্রাণী কল্যাণ কাজে যারা নিয়োজিত তাদের উপস্থিতিতে নিরপেক্ষভাবে আমার বিকলাঙ্গ অন্ধ দেশীয় পোষা বিড়ালগুলি এসি বাড্ডা জোন যদি পর্যবেক্ষণ করতে চান, তাতে আমার আপত্তি করার কিছু নেই!

এদিকে নায়লা নাঈম ৫০০ বিড়াল পোষেন এমন অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। এ প্রসঙ্গে নায়লা নাঈম বলেন, ‘আমার বিড়ালের সংখ্যা নিয়ে যে গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে সেটা কিসের ভিত্তিতে চালানো হচ্ছে তার প্রতি তার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. এলিন চৌধুরী বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে করেছিল সোসাইটি।

আমি তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দুই পক্ষকেই ডেকেছিলাম। আমি নায়লা নাঈমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সুবিধা অনুযায়ী আপনার বাসায় তদন্ত করতে যাবো। কিন্তু তার আগেরদিনই তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বসলেন।

নায়লা নাঈম বলেন, ‘আমি আমার বিড়ালগুলোকে স্থানান্তর করছি, ওদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকার জন্য আরও ভালো জায়গায়।

কিন্তু, সেটা কারো প্রেশারে নয়, সেটা অবশ্যই আমার নিজের ইচ্ছায় এবং সুযোগ সুবিধা মিলিয়ে। সরিয়ে নিচ্ছি, সরিয়ে নিবো সেজন্য আমার কিছু সময় প্রয়োজন, এটাই হচ্ছে আমার বক্তব্য এবং আমি আইনের প্রতিও যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *