‘দেবী’ আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে: শবনম
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: ২০১৩ সালের ভালোবাসা দিবসে প্রচার হওয়া আদনান আল রাজীবের টেলিছবি ‘অলটাইম দৌড়ের ওপর’ আমার অভিনয় অনেক আলোচিত হয়েছিল। তখন যেখানে যেতাম, অভিনয়ের প্রশংসা শুনতাম। এ টেলিছবির মাধ্যমে নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করেছি। আজকের এই শবনম ফারিয়ার ভিত সেখান থেকেই রচনা হয়েছে।
‘অলটাইম দৌড়ের ওপর’ টেলিছবিতে কাজের আগে বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছি। যে জন্য ক্যামেরা ভীতি খুব একটা ছিল না। প্রথম টেলিছবির কাজ, কীভাবে কী হবে, না হবে- এ নিয়ে একটু ভয়ে ছিলাম। নির্মাতাসহ শুটিং ইউনিটের সবাই ছিলেন খুবই হেল্পফুল। সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। একজন নতুন শিল্পী হিসেবে এটা আমার জন্য বড় পাওয়া ছিল। নতুন শিল্পীরা শুটিং ইউনিটের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করেন। সবাই একসময় নতুন হিসেবেই কাজ শুরু করেন। তাদের চলার পথ যদি শুরুতে সহজ করে দেওয়া হয়, তাহলে তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। টিভির আগে টেলিছবিটির প্রথম প্রদর্শনী হয় রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে। সেখানে টেলিছবির কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম প্রদর্শনীতে দর্শকের চোখে-মুখে বেশ উচ্ছ্বাস দেখেছি। তখন আমি অপরিচিত। রবীন্দ্র সরোবরে নাটকটি দেখতে এসেছেন হাজার চারেক দর্শক। শেষে এমন অবস্থা হলো, নাটকটি শেষ হওয়ার পর দর্শকের কাছে আমি অচেনা থকে চেনা একজন হলাম! এরপর রেদওয়ান রনির ‘সুবর্ণপুর বেশি দূরে নয়’, তানিম রহমান অংশুর ‘দুই অংশের শেষ একটা’ আলোচিত হয়েছিল। সবই আমার জন্য টার্নিং পয়েন্ট।
এ ছাড়া আমার অভিনীত ‘প্রতীক্ষা’, ‘সে আসে ফিরে ফিরে’, ‘ডিজিটাল প্যারেন্ট’, ‘প্রণয়’, ‘গোলাপি ঘুড়ি’, ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে’, ‘ব্যাকবেঞ্চার’, ‘হিং টিং ছট’, ‘বনলতা’, ‘ইডিয়ট’, ‘না জাগতিক না পুরাণ’, ‘নিয়ত’, ‘মুচকি হাসি’, ‘বৈরাগীর গান’, ‘মিস্টার জেক্স’, ‘জরুরি বিবাহ’, ‘হানিমুন প্যাকেজ’, ‘আনারকলি’, ‘প্রেমের রঙে রাঙাবো’, ‘হ্যাপি এন্ডিং’ নাটকগুলো দর্শক পছন্দ করেছে। তবে আমার অভিনীত ‘দেবী’ চলচ্চিত্রটি আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। এতে অভিনয়ের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি হুমায়ূন আহমেদের লেখার অন্ধ ভক্ত। নবম শ্রেণিতে পড়াকালে প্রথম ‘দেবী’ উপন্যাসটি পড়েছিলাম। ফলে ‘দেবী’র প্রতি অন্যরকম ভালো লাগা জড়িয়ে ছিল। এরপর ছবির শুটিংয়ের আগে আরও একবার পড়েছি।
প্রথমত, এটা হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস। একসঙ্গে ভালো গল্প, ভালো নির্মাতা, ভালো ইউনিট ছিল বলেই ছবিটি দর্শকের কাছে ভালো লেগেছে। কাজের শুরুতে পার্শ্বচরিত্রে কাজ করব কি করব না- এটা নিয়ে অনেক দ্বিধায় ছিলাম। পরে সব ভেবে-চিন্তেই ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাজি হয়েছি। ছবিটি যখন মুক্তি পেল, তখন মনে হয়েছে সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। ছবিতে আমার ‘নীলু’ চরিত্রটি দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করেছে। নাটক, টেলিছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি বেশকিছু ভালো বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছি। এর মধ্যে প্যারাসুট, রবি, প্রাণ জুস, রাঁধুনি বিজ্ঞাপন দর্শকের নজর কেড়েছে বেশি।