এবার বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে

Spread the love

বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: আগামী বছর থেকে স্থায়ী ঠিকানা রাজধানীর পূর্বাচলে হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলাপ্রাঙ্গণ ‘বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সৌন্দর্যবর্ধন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসে এই প্রদর্শনী সেন্টারটি হস্তান্তর করতে চায় চায়না কর্তৃপক্ষ। তবে ২০২১ সালের বাণিজ্য মেলা হতে পারে আগামী মার্চ মাসে। শুধু বাণিজ্য মেলা নয়, সারা বছরই এখানে মেলা করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে। বসুন্ধরার ৩০০ ফিট রাস্তা ধরে কাঞ্চন ব্রিজ ফেলে এক কিলোমিটার বামে গেলে পাওয়া যাবে ‘হঠাৎ মার্কেট’ নামের একটি বাজার। নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জে এ বাজারটির ঠিক বিপরীতে দৃষ্টিনন্দন মেলার স্থাপনা চোখে পড়বে। ভেতরে ঢুকলেই এর বিশালত্ব এবং নান্দনিক নির্মাণশৈলী বোঝা যায়, যা মেলাপ্রেমীদের জন্য অনেকটাই প্রস্তুত।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে প্রদর্শনী স্থান ঘুরে দেখা যায়, ফ্লোর ঘষামাঝার কাজ চলছে। কাজের তদারকি করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্রাংক লিং। প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজর মো. আবু মুছা বলেন, ‘চমৎকার একটি প্রদর্শনী কেন্দ্র হচ্ছে। মেঝেতে টাইলসের বিকল্প হিসেবে পিডাব্লিউ টাইলস ব্যবহার করা হচ্ছে, যার কার্যকারিতা অনেক বেশি শক্তিশালী। এই প্রযুক্তি সাধারণত হেভি ডিউটি কারখানাগুলোতে ব্যবহার করা হয়। আমাদের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহেই চায়না কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’ এ ছাড়া পুরো হলজুড়ে কাজের তদারকি করছেন চীনের প্রকৌশলী ইউ তাও। তিনি বলেন, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পানি, গ্যাস বিদুৎ এবং ওয়াই-ফাইয়ের পরিষেবা থাকছে। এসব সরবরাহব্যবস্থা করা হয়েছে মেঝের নিচ দিয়ে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০ একর (৮.১ হেক্টর) জমিতে এই প্রদর্শনী সেন্টার করেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেইট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি)। এটি বাংলাদেশ-চীন একটি যৌথ প্রকল্প। তদারকি কর্মকর্তারা আরো জানান, ফ্রেম ও স্টিল স্ট্রাকচারে তৈরি প্রদর্শনীটিতে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। উন্নত নির্মাণসামগ্রী এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। বিশাল প্রদর্শনী হলের মাঝে পর্যাপ্ত খোলা জায়গার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মূল দুটি প্রদর্শনী হল করা হয়েছে খোলা স্থানের দুই পাশে। প্রতিটির আয়তন সাত হাজার বর্গফুট। প্রদর্শনী হলের প্রতিটিতে ৯ বর্গফুটের ৪০০ করে বুথ রাখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *