জেনে নিন, চাঁদপুর মোহনার ইতিহাস
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: চাঁদপুর জেলা সদরের অন্যতম একটি পর্যটন স্পট তিন নদীর মোহনা। প্রতিদিনই এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। অনেক সময় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীদের মোহনার চারপাশে ভিড় জমায়। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ঘুরতে আসেন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে। কিন্তু আমরা জানি না এর পূর্ব ইতিহাস কি? কেন চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনাকে এক রহস্যময় মৃত্যুকুপ বলা হয়।
জনশ্রুতি আছে, চাঁদপুরের এই মোহনা এক ছেলের অভিশাপে সৃষ্টি হয়েছে। সে হয়তো শত বছর আগের কথা। তখন মোহনাস্থলে কোনো নদী ছিল না। ছিল ছোটখাটো বাজার, হোটেল আর দোকানপাট। নদী ছিল কয়েক কিলোমিটার দূরে। একদিন বিকেলে ছোট এক দ্ররিদ্র ছেলে শিশু একটি হোটেলে গিয়ে খাবার চায়। হোটেলের মালিক তাকে তাড়িয়ে দেয়। ছেলেটি পুনরায় খাবার চাইতে গেলে তাকে আবারো তাড়িয়ে দেয়া হয়।
ছেলেটি আবারও ওই হোটেলে যায়। এবার হোটেলের মালিক রেগেমেগে তার গায়ে গরম তেল ছুড়ে মারে। অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাদঁতে কাঁদতে ছেলেটি চলে যায়। ওই রাতেই হোটেল অবধি কয়েক কিলোমিটার জায়গা নদীর ভাঙনে পানির অতলে হারিয়ে যায়। তৈরি হয় মোহনা। ওই ঘটনার বহু বছর পর ওই ঘূর্ণিপাকে পড়ে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। তখন ডুবুরিরা লঞ্চের সন্ধানে নদীর তলদেশে গিয়ে দেখে একটি ছোট ছেলে চেয়ারে বসে আছে। ঘটনাগুলো আদৌ সত্যি কি-না তা বলা কঠিন।