নারীর সাথে হ্যান্ডশেক না করায় মুসলিম চিকিৎসককে নাগরিকত্ব দিল না জার্মানি
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: জার্মানিতে থাকার সব শর্ত পূরণ করেছিলেন। কিন্তু সমস্যা বেধে গেলো অন্য জায়গায়। নারী কর্মকর্তার সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় নাগরিকত্ব পাওয়া হলো না মুসলিম চিকিৎসকের।
জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার জার্মানির একটি আদালত ওই মুসলিম চিকিৎসকের জার্মানির নাগরিকত্ব আবেদন আটকে দিয়েছে। কারণ তিনি নারীর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেছেন।
৪০ বছর বয়সী লেবাননের এই চিকিৎসক ২০০২ সালে জার্মানিতে যান। বর্তমানে তিনি সেখানে একটি ক্লিনিকে সিনিয়র ফিজিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন।
চিকিৎসক বলেছিলেন, ধর্মীয় কারণে তিনি নারীদের সঙ্গে হাত মেলাবেন না। আর এতেই তার নাগরিকত্ব আবেদন আটকে দেয় আদালত।
এই মুসলিম চিকিৎসক আরো বলেছিলেন, তিনি তার স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে অন্য কোনও নারীর সঙ্গে হাত মিলাবেন না।
বাডেন-ওয়ার্টেমবার্গের প্রশাসনিক আদালত বলেছে, যে কারো সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের তাৎপর্য রয়েছে। কিন্তু ওই লোক নারীর সঙ্গে হাত মেলাতে চাননি। তারা নারীদের ‘যৌন প্ররোচনার বিপদ’ মনে করেন। তিনি জার্মানিদের জীবনযাত্রায় সবাইকে একত্রকরণকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিচারক বলেন, এই হ্যান্ডশেকের একটি আইনি অর্থ রয়েছে। এটি কোনও চুক্তির সমাপ্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এছাড়া হাত মেলানো সামাজিক, সাংস্কৃতিক জীবনে গভীরভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। যা আমাদের একসঙ্গে থাকার পথ তৈরি করে দেয়।