চিঠি
প্রিয় দ্বীপ,
তপ্ত মরুভূমিতে একজন তৃষ্ণার্ত পথিকের কাছে এক গ্লাস পানি যেমন ঠিক তেমনি তুমিও আমার জীবনে গুরুত্ববহ।”আমি তোমাকে ভালোবাসি” কথাটির চেয়েও “আমি তোমায় অনুভব করি” কথাটি মনে হয় বেশি সুন্দর।ভালোবাসার ভাবার্থ অনেক নিখুঁত।আমি এখনো এতটা নিখুঁত হতে পারিনি যতটা নিখুঁত হলে তোমাকে দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করতে দেওয়া যাবে না।আমার সেই সৌভাগ্য এখনো হয়ে ওঠেনি যে তোমাকে চোখের সামনেই রাখবো সর্বদা।এখন হয়তো তুমি ঘুমাচ্ছো নিশ্চিন্তে।আর তথ্যপ্রযুক্তির এই সহজলভ্যতার কারণে কাগজের পৃষ্ঠা নষ্ট না করে ইন্টারনেটেই তোমায় চিঠি লিখতে বসলাম।জীবন থেকে অনেকগুলো বছরই কেটে গেলো।কেউ একজন জীবনে আসবে,এলোমেলো জীবন কিংবা সাঁজানো জীবনটাকে আরেকটু গুছিয়ে দেবে,যার সাথে তুমুল ছন্নছাড়া জীবন কাটানো যাবে,যার কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রকাশ করা যাবে আর যার কাছে মনখুলে ভাগ করা যাবে জীবনের সবকিছু দিনশেষেতো এমন একটা মানুষ সবারই প্রত্যাশিত।আমিও তার ব্যতিক্রম নই নিশ্চয়ই।তুমি আমার জীবনে আসার পর যেনো সব সমীকরণ সহজ ধারা মেনে চলছে।যে সহজসরল কিংবা চিরন্তন সত্যে মিশ্রিত প্রণয়ের অপেক্ষায় ছিলো প্রেমিকা মন সে প্রণয় যেনো নিজে থেকেই আমার জীবনে এলো।আর তাই আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ।একটি বিশ্বস্ত পোষা কুকুর যেমন জীবন উপেক্ষা করেও তার মনিবকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ঠিক ততটাই বিশ্বস্ততা আমার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তুমি আমার সেই মনিব যাকে রক্ষা করা আমার গুরুদায়িত্ব।তুমি পরিবারের বড় সন্তান।পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব তাই তোমার ওপরই বর্তায়।আমার ভালোবাসা কখনোই এমন স্বার্থপর নয় যে তোমাকে পেতে তোমার পরিবারকে উপেক্ষা করবে।ভালোবাসা মানে এই নয় শুধু তোমাকেই পাওয়া।আমার ভালোবাসার মানে তুমি ও তোমার পরিবার দুটোই পাওয়া যা একই বৃন্তের দুটি পুষ্প।আমি তোমার সেই বউ হবো যাকে পেলে তোমার পরিবার বলবে “দ্বীপ তুই ভুল করিসনি।”
ইতি
তোমারই অপরাজিতা….
লেখকের মেইলঃ farhanaislam7498@gmail.com