অপমান সইতে না পেরে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
বার্তাবহ চাঁদপুর ডেস্ক: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা গ্রামের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাম্মী আকতার মিলি (১৫) কে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর সোমবার থানায় মামলা হয়। ওই ঘটনার ১০দিন পর ওই কিশোরী অপমান সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ( ১৮ নভেম্বর) বিকেলে বাঘারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাম্মী আক্তার বাঘারপাড়া গ্রামের মিলন মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪০) দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় বড়তারা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে আসছে। গত রোববার (৭ নভেম্বর) ওই স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ওই শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেলে সে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তার সঙ্গে দেখা হয় বড় তারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের সহযোগী শাহিনুর রহমানের (৩৮) সঙ্গে। শাহিনুর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ভিন্ন পথ ঘুরে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নেমে দেয়। এ সময় রফিকুল এসে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে। তখন ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে রফিকুল ও তার সহযোগী শাহিনুর পালিয়ে যায়।
পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে মামুনুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহিনুর রহমান নামের দু’জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
ক্ষেতলাল থানা ওসি নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল আরটিভি নিউজকে বলেন,অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাকে স্থানীয় দুই জন যুবক যৌন হয়রানি করেছিল এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি পলাতক আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সে অপমান সইতে না পেরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বাবা মায়ের অজান্তে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।