আনন্দআমার কথাআমার দেশআরও কিছুকবিগল্পকারছবি আঁকিদলদলপ্রযুক্তি দুনিয়াবিদেশব্যবসামাঠশিক্ষাশীর্ষসাম্প্রতিকসারাদেশস্বাস্থ্য

বউও আমাকে ‘হাবু ভাই’ বলে ডাকে: চাষী আলম

 

 

কেমন আছেন এই অভিনেতা? জানতে চাইলে আজ শনিবার দুপুরে চাষী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি বিয়ের পরও বলছি, সেই আগের মতোই আছি আমি। শুধু একটু পরিবর্তন, চার সদস্যের আমার পরিবারে একজন সদস্য বেড়েছে। এখন আমরা পাঁচজন হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে এত অল্প সময়েই আমার বউ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মিশে গেছে। আমার ছোট বোনের সঙ্গে ওর বন্ধুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’
আড্ডা, হইচই নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন, এমনকি রাত করে বাসায় ফেরারও অভ্যাস আছে। বিয়ের পর কিছুটা ছন্দপতন হবে না?

জানতে চাইলে চাষী বলেন, ‘না, কোনো ছন্দপতন হবে না। আর আমি বিয়ের আগেই বউকে অনুরোধ করে বলেছিলাম, বিয়ের পর আমি আগের মতো থাকতে চাই। আমার বউয়েরও চাওয়া, আমি আগে যেমন ছিলাম, তেমনি যেন থাকি। সেও মনে করে হইহুল্লোড়, আড্ডা—এগুলো জীবনে বেঁচে থাকার অংশ। কোনো পরিবর্তন হওয়া যাবে না। তাহলে বোঝেন এবার।’

বউ তুলতুলকে প্রশংসা করে চাষী আরও বলেন, ‘ওপরওয়ালা তুলতুলকে আমাকে মিলিয়ে দিয়েছে। আমার বউটা লক্ষ্মী। সে খুবই আধুনিক এবং স্টাইলিস্ট। আমার মনে মতো।’ কথা প্রসঙ্গে চাষী আলম বলেন, ‘তুলতুলের চুল ও চোখ বেশি পছন্দ আমার। ওর চোখে গভীর মায়া আছে।’
বিনোদনজগতে কাজ করা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে কোনো বাধানিষেধ নেই বলে জানান চাষী। তিনি বলেন, ‘তাঁরা তো জেনেশুনেই আমার সঙ্গে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বউ তো আছেই, শ্বশুর-শাশুড়ি দুজনই আমার অভিনয়ের ভক্ত। বউ আমাকে “হাবু ভাই” বলে ডাকে। হা হা হা…।’

 

কথা প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, ‘আসলে জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে ওপরওয়ালার হাতে। তিনি যখন নির্দেশ দেবেন, তখনই হবে। সেটাই হয়েছে আমার। বিয়ের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে কি, যায়নি, সেটি ব্যাপার নয়। যেমন আমি প্রায় ৩০ বছর ধরে মিডিয়াতে কাজ করি। কিন্তু আগে কেউ চিনত না আমাকে। ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকে অভিনয় করে এই এক-দু বছর আগে থেকে দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ আমাকে চিনেছেন। অনেক বছর হলো কাজ করি, তাহলে তো আরও আগেই আমাকে চেনার কথা ছিল, সেটি হয়নি। সুতরাং কখন কার কপালে কি লেখা আছে, সময়টা বলা কঠিন।’

এর আগে প্রথম আলোকে চাষী আলম জানান, তুলতুলের এক ভাগনে তাঁর অভিনয়ের ভক্ত। একদিন উত্তরার এক দোকানে কয়েকজন বন্ধু মিলে চটপটি খাচ্ছিলেন চাষী। ভাগনের সঙ্গে সেখানে তুলতুলও চটপটি খেতে এসেছিল। চাষীকে দেখে তুলতুল ও তার ভাগনে ছবি তুলল। ওই দিনই প্রথম পরিচয়। এর কিছুদিন পর ফোনে তাঁদের দুজনের কথা আদান-প্রদান শুরু হয়। একটা পর্যায়ে পরস্পরের প্রতি ভালো লাগা কাজ করে। চাষী আলম বলেন, ‘বেশি দিন তো প্রেমের স্বাদ নিতে পারলাম না। চাচি ও মায়ের চাপাচাপিতে তাড়াতাড়িই বিয়ে হয়ে গেল।’

ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের মাধ্যমে তাঁর পরিচিতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। তবে মারজুক রাসেলের সঙ্গে একাধিক নাটকে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। এবার ঈদে চাষী আলম অভিনীত বেশ কয়েকটি নাটক মুক্তি পায়। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ছিল বেশ কয়েক দিন। তার মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলেছে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত দুটি নাটক ‘কিডনি’ ও ‘ফিমেল-৩’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *